কিভাবে successful ব্লগার হবেন। বিস্তারিত জেনে নিন

আজকের এই পোস্টে ব্লগার এর কোন ট্রিক্স শেয়ার করব না। তবে এই সময়ে ব্লগার থেকে অন্তত ইনকাম করার জন্য কি কি করতে হবে তা স্টেপ বাই স্টেপ বুঝিয়ে দিব। তাই আপনার হাতে যদি সময় থাকে তাহলে পোস্ট টি সম্পন্ন পরুন। না হলে পোস্ট টি স্কিপ করে যেতে পারেন। তাহলে চলুন পোস্ট টি শুরু করা যাক। এখানে আমি মাত্র ছয়টি স্টেপ রেখেছি। যদি এই এই ছয় টি স্টেপ ফলো করে আপনি কাজ করতে পারেন তাহলে আসা করি ব্লগার থেকে আপনি অন্তত ইনকাম করার ব্যবস্থা টা করতে পারবেন। 

প্রথম এ আমাদের একটি টপিক বা ক্যাটাগরি সিলেক্ট করতে হবে। এই সময়ে ব্লগার এ অনেক ক্যাটাগরি রয়েছে। য়ার মধ্যে থেকে এখানে আমি কয়েকটি মাত্র তুলে ধরেছি, প্রথমে রয়েছে, ১| ইনফমেশন রিলেটেড () অর্থাৎ আপনি আপনার ওয়েব সাইটে একটি ইনফরমেশন ব্যাস করে তৈরি করতে পারেন। যেখানে মানুষের বা ভিজিটর এর প্রয়োজনীয় ইনফরমেশন আপনি দিতে পারেন। তারপর রয়েছে, ৩| ফাইনান্সিয়াল () এখানে আপনি এই টপিকের উপর বিভিন্ন ট্রিক্স শেয়ার করতে পারেন। এরপর রয়েছে ৪| টেন্ডিং টপিক () এখানে আপনি টেন্ডিং যে বিষয় গুলো চলবে সেই বিষয় এর উপর আপনি পোস্ট তৈরি করতে পারেন। তারপর রয়েছে, ৫| গভমেন্ট জব রেজাল্ট () অর্থাৎ এটার উপর প্রচুর পরিমাণ ভিজিটর থাকে আপনি চাইলে এইখান থেকে একটি ওয়েব সাইট তৈরি করতে পারেন। সবার প্রথম এ আমাদের কাজ হচ্ছে একটি নিদিষ্ট টপিকের উপর কাজ করা বা ক্যাটাগরি সিলেক্ট করা। এবার দ্বিতীয় নাম্বার ক্যাটাগরি সিলেক্ট করবো সেটার উপর কিওয়ার্ড সিলেক্ট করতে হবে।

 কারণ আমরা যে টপিক এর উপর পোস্ট করব সেই টপিক এর উপর কিন্তু গুগলে হাজারো পোস্ট রয়েছে। সেই খান থেকে কিওয়ার্ড রিসার্চ এর মাধ্যমে আমাদের পোস্ট গুলো লিখতে হবে। কিওয়ার্ড রিসার্চ এর জন্য আপনি গুগল এর সাহায্য ফ্রী তে নিতে পারবেন। 

 ক্যাটাগরি সিলেক্ট এর পরে যখন আমাদের ওইটার উপর কিওয়ার্ড রিসার্চ হয়ে যাবে এবার আমাদের ৩য় নাম্বার স্টেপ হচ্ছে পোস্ট লেখা। আম কিন্তু এখনো সাইট তৈরির কথা বলি নাই। প্রথমে আমাদের একটি ক্যাটাগরি সিলেক্ট করতে হবে তারপর কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে। এবং কিওয়ার্ড রিসার্চ করে কিন্তু আমাদের পোস্ট লিখতে হবে। এই পোস্ট গুলো অবশ্যই কমপক্ষে ৬০টি উনিক পোস্ট আমাদের লিখে ড্রাফট করে রাখতে হবে অর্থাৎ নোট প্যাড বা গুগল ডগস সুন্দর ভাবে একটি টাইটেল দিয়ে উনিক ভাবে পোস্ট লিখে কিন্তু সাজিয়ে যেতে হবে। কমপক্ষে ৬০টি। কেন লিখে রাখবেন জানেন এই ৬০টি পোস্ট কেন লিখে আমি সেভ করে রাখতে বলছি তার কারণ টি হলো, ইচ্ছে করে না। ইচ্ছে করে না বলতে আমরা যখন নতুন ওয়েব সাইট তৈরি করে পোস্ট লিখতে থাকি তখন বেশ কিছু পোস্ট পাবলিশ করার পর কোন ভিজিটর আসে না তাই ভিজিটর না আসারি কথা তখন আর পোস্ট পাবলিশ করতে ইচ্ছে করে না। আমরা যখন পোস্ট রেগুলার লিখি না তখন অটোমেটিক গুগল সেই ওয়েব সাইট গুগল ডাউন করে দেয়। 

এই সময়ে অসংখ্য ব্লগার রয়েছে অসংখ্য পোস্ট পাবলিশ হয়ে থাকে সেটা অলরেডি হাজার হাজার পোস্ট শেয়ার করা হয়েছে এজন্য গুগল রেগুলার যারা কাজ করে তাদেরকে বেশি পাধান্য দিয়ে থাকে। জখনি আমরা ৫থেকে১০ টি পোস্ট করার পর ভিজিটর আসে না গুগল এ ইন্ডেক্স হয় না তখন অটোমেটিকলি আমাদের আর পোস্ট লিখতে ইচ্ছে করে না। বা ভালো লাগে না। ধরুন আজকে দুটি পোস্ট লিখলে এক সসপ্তাহের মধ্যে আর কোন পোস্ট পাবলিশ করে না। আপনার সাথে একরকম হয় কি না কমেন্ট এ জানাবেন। আমার যতদুর মনে হয় যরা নতুন রয়েছে তাদের সাথে একরকম হয়ে থাকে। এজন্য আপনারা ৬০টি পোস্ট ওয়েব সাইট তৈরি করার আগেই লিখে রাখবেন। লিখে সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুসিয়ে সেভ করে রাখবেন। যখন আমাদের পোস্ট লেখা কমপ্লিট হয়ে যাবে তখন আমরা কিন্তু সাইট তৈরি করব। পোস্ট লেখা কমপ্লিট হওয়ার পর আমরা সাইট তৈরি করব। 

অর্থাৎ ৪নাম্বার স্টেপে এসে আমরা সাইট তৈরি করব। সাইট তৈরি করার জন্য আপনি ব্লগার অথবা ওয়ার্ডপ্রেস আপনি যে কোন একটি ব্যবহার করতে পারেন। যদি আপনি ৫০০০ থেকে ৭০০০ টাকা ইনভেস্ট করতে পারেন তাহলে আপনি ওয়ার্ডপ্রেস এ যেতে পারেন ওয়ার্ডপ্রেস এ অসংখ্য সুজুক সুবিধা রয়েছে আর যদি আপনি ইনভেস্ট করতে না চান তাহলে ব্লগার থেকে ওয়েব সাইট তৈরি করতে পারেন। তবে আমি আপনাকে রিকমেন্ড করব যদি আপনি ব্লগার থেকে ওয়েব সাইট তৈরি করেন তারপর ও কিন্তু একটি ডোমেইন কিনে একটি ওয়েব সাইট তৈরি করবেন। কারণ ডোমেইন কিনলে গুগল এ সহজে ইনডেক্স হয়। রাংক এর ক্ষেত্রে একটু বেশি সুবিধা পাওয়া যায়। আর যদি আপনি ইনভেস্ট মোটেও না করতে চান তাহলে সরাসরি ব্লগার থেকে আপনি শুরু করতে পারেন। এখানে ও কিন্তু সাইট রাংক করে এবং ভালো পরিমান ইনকাম হয়ে থাকে। 

তারপর 

আপনাকে অ্যাডসেন্স এসইও ফ্রেন্ডলি থিম ব্যবহার করতে হবে। এই থিম জন্য কিন্তু অনেক সময় অ্যাডসেন্স থেকে আপনাকে রিজেক্ট করে দেয়। তাই অবশ্যই দেখে শুনে অ্যাডসেন্স এসইও ফ্রেন্ডলি থিম ব্যবহার করতে হবে। তাহলে আমাদের ৪নাম্বার স্টেপ কিন্তু কমপ্লিট হয়ে যাবে। 

সাইটের ব্যাসিক সেটিং গুলো করতে হবে। ব্যাসিক সেটিং বলতে আপনি যদি ব্লগার থেকে ওয়েব সাইট তৈরি করেন তাহলে ব্লগার এর যে সেটিং গুলো থাকে সেগুলো সুন্দর ভাবে করতে হবে। তা নাহলে আপনার ওই ওয়েব সাইট গুগল এ ইন্ডেক্স না-ও হতে পারে। এরপর গুগল সার্চ কনসল এর সেটিং রয়েছে, সাইট ম্যাপ বা গুগল সার্চ কন্সল এ ওয়েব সাইট অ্যাড করা। আর ওয়ার্ডপ্রেস এগুলো অটোমেটিক ভাবে করে কারণ অনেক প্লাগিন রয়েছে। এখন হচ্ছে লাস্ট স্টেপ, 

পোস্ট পাবলিশ বা সিডিউল। এখানে কমপক্ষে দুটি করে পোস্ট সিডিউল করে দিতে হবে। প্রতিদিন দুটি করব আপডেট হতে থাকবে। এই পোস্ট এর পাবলিশ এর টাইম টা হবে সকাল বিকাল অথবা সন্ধ্যায় এর মধ্যে সময় বের করতে হবে। কোন সময়ে লোকজন বেশি ফ্রী থাকে বা বেশি ইন্টারনেট ব্যবহার করে। ঠিক এরকম একটি সময় দেখে আপনার পোস্ট গুলো শেয়ার করতে হবে। ধন্যবাদ সবাইকে